১. বেতন-ভাতার মানসম্মত বৃদ্ধি: শিক্ষকদের বেতন ও ভাতা বাস্তব জীবনের খরচের সঙ্গে মানানসই করে পুনর্বিবেচনা করা দরকার। বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির মতো মৌলিক দাবিগুলো পূরণ করতে হবে যাতে তারা আর্থিকভাবে স্বস্তিতে থাকতে পারেন।
২. দুর্নীতি ও অনিয়ম দূরীকরণ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অব্যবস্থাপনা, অর্থের অপচয় ও দুর্নীতি কমাতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ফান্ডের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নিয়মিত অডিট ও দায়বদ্ধতার ব্যবস্থা জরুরি।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারি নিয়মনীতি ও শৃঙ্খলার মধ্যে আনা প্রয়োজন। বিশেষ করে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. শিক্ষক নিয়োগ ও বদলি নীতিমালা প্রণয়ন: শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে এবং বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষককে তাঁর নিবন্ধিত উপজেলায় বা নিকটবর্তী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে বাড়িভাড়া ও পরিবহন সংক্রান্ত অতিরিক্ত ব্যয় কমে।
৫. সরকারি পদে উপযুক্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে নবম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হলে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজের স্বচ্ছতা বাড়বে।
৬. অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়: শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বাজেট পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।
৭. শিক্ষকদের সামাজিক নিরাপত্তা: সরকারি পেনশন, স্বাস্থ্যসেবা, এবং অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রসারিত করা দরকার যাতে শিক্ষকরা তাদের পেশাগত জীবনে নিরাপত্তা অনুভব করেন।
এসব উদ্যোগ গ্রহণ করলে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক দুর্দশা কমে শিক্ষার মানোন্নয়নও সম্ভব হবে। শিক্ষকেরা যাতে উৎসাহ ও স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারেন, সেজন্য তাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।