
বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’। আগামী ২৮ অক্টোবর গভীর রাতে এটি ভারতের উপকূলীয় রাজ্য ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ব্যাপক তাণ্ডব চালাতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর ইতোমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে। ‘মন্থা’ রোববার গভীর রাত পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া থেকে প্রায় ৮৩০ কিলোমিটার এবং ওড়িশার গোপালপুর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাসসহ উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ ১২ ঘণ্টা ধরে প্রবল ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে গত ৬ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় এটি উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যদি উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকে, তাহলে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাতে এটি মছলিপত্তনম ও কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যবর্তী কাকিনাড়ার আশপাশে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তখন ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে, যা ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ইতোমধ্যে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে ওড়িশা, এনডিআরএফ এবং ওডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে। ওড়িশা সরকার আটটি জেলায় ১২৮টি দুর্যোগ মোকাবিলা দল মোতায়েন করেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম, আল্লুরি আইথারাম রাজু, আনাকাপল্লি, বিশাখাপত্তনম, কাকিনাড়া, পূর্ব গোদাবরী, এলুরু, কোনাসীমা, এনটিআর, গুন্টুর, কৃষ্ণা এবং বাপাতলা জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সকলকে সতর্ক থাকার এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মন্থা