প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা

প্রযুক্তি ডেস্ক , শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫






                                        
                                       

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলের কাছাকাছি অ্যাক্সিয়াল সিমাউন্ট আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ করে অগ্ন্যুৎপাতের সতর্কতা জারি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলরেখা থেকে ৩০০ মাইল দূরে ও সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় এক মাইল নিচে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরি থেকে কয়েক মাসের মধ্যেই বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আগ্নেয়গিরিটি থেকে সর্বশেষ ২০১৫ সালে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল।

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আগ্নেয়গিরির আশপাশের স্থানে ভূমিকম্পের তীব্রতা লক্ষ করেছেন। জুন মাসে আগ্নেয়গিরির আশপাশে এক দিনে দুই হাজারের বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন শত শত ভূমিকম্প এ অঞ্চলকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। এরই মধ্যে সমুদ্রতলে ২০১৫ সালের অগ্ন্যুৎপাতের মতোই স্ফীতি অবস্থা দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী উইলিয়াম চ্যাডউইক বলেন, ‘যে হারে স্ফীতি ঘটছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষ নাগাদ এখান থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটবে। ভূমিকম্পের প্রভাবে ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির ফাটল ধরে ওপরে উঠে আসছে। ম্যাগমা যখন ওপরে উঠে আসে, তখন বেলুনের মতো আগ্নেয়গিরির চেম্বার ফুলে যায়। ফলে আশপাশের পাথরের ওপর চাপ তৈরি হওয়াসহ ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়।’

সিমাউন্ট আগ্নেয়গিরিতে কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে ঘন ঘন ভূমিকম্পের ঘটনা একটি স্পষ্ট সতর্কতা। এ বিষয়ে উইলিয়াম চ্যাডউইক বলেন, ‘আমরা আসলে জানি না পরবর্তী অগ্ন্যুৎপাত শুরু হতে কী কী লাগবে আর ঠিক কখন তা ঘটবে। এখানকার ভূমিকম্পের মাত্রা বেশ কম, ১ বা ২ মাত্রার হয়ে থাকে। অ্যাক্সিয়াল সিমাউন্টের অগ্ন্যুৎপাতের সময় পানির নিচে ভূমিকম্পের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

অ্যাক্সিয়াল সিমাউন্ট আগ্নেয়গিরিতে এক দশক আগে অগ্ন্যুৎপাতের সময় পানির নিচ থেকে ৪৫০ ফুট পুরু লাভাপ্রবাহ তৈরি হয়েছিল। ফলে বিশাল কাঠামো তৈরি হয়। একে পিলো লাভা বলে। এমন গলিত শিলার বাল্ব আকারের টিউব, যা সমুদ্রের পানির কারণে দ্রুত শক্ত হয়ে যায়।

  • আগ্নেয়গিরি
  • বিজ্ঞান
  • মহাসাগর