কলম্বোয় প্রথম দিন যেখানে ৮ উইকেট পড়েছিল, দ্বিতীয় দিন সব মিলিয়ে সেখানে উইকেট গেছে মোটে ৪টি। ঐতিহাসিকভাবেই তৃতীয় দিনে উইকেট আরও ব্যাটিং সহায়ক হয় কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে, তাই শঙ্কা ছিল আরও বড় রানে চাপা পড়ার। তবে শেষমেশ সে শঙ্কাটা এখন কমে গেছে অনেকটাই। সকালের সেশনে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে এখন ম্যাচে ফেরার আশাও দেখছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিন শেষে কুশল মেন্ডিস এসে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, যা রান করা প্রয়োজন শ্রীলংকার, সেটা তারা আজই করে নিতে চায়। কলম্বোয় পঞ্চম দিনে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করাটা বেশ কঠিন, সে ভাবনা থেকেই এই কৌশল ছিল শ্রীলংকার।
২ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রানে দাঁড়িয়ে থেকে সে ভাবনাটাকে অমূলকও মনে হচ্ছিল না। তবে সে কৌশলে বাধ সেধেছে বাংলাদেশ। সকালের সেশনেই তুলে নিয়েছে ৪টি উইকেট। যদিও তাতে শ্রীলঙ্কার রানে বাধ দেওয়া যায়নি। ২৫ ওভারের এই সেশনে স্বাগতিকরা ওভারপ্রতি ৪.৪৪ করে রান করে তুলে ফেলেছে ১১১ রান।
নিসাঙ্কা আগের দিনে সেঞ্চুরি করে আজ সকালে অপেক্ষায় ছিলেন ১৫০ এর। তা পেয়ে গেলেও তিনি ইনিংসটা বেশি বড় করতে পারেননি। ১৫৮ রানে তাকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। নিজের পরের ওভারে তাইজুল সাজঘরের পথ দেখান লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকেও।
‘নাইটওয়াচম্যান’ প্রবাথ জয়াসুরিয়াকে এরপর ফেরান নাহিদ রানা। লাঞ্চের কিছু আগে আগে কামিন্দু মেন্ডিসকে আউট করেন নাঈম হাসান। তার আগে একবার বল স্টাম্পে লাগলেও আউট হননি কামিন্দু। তবে তার ইনিংসটাকে বেশি লম্বা হতে দেননি নাঈম। আর তাতেই কিছুটা স্বস্তি আর আশা নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
তবে কাজটা এখনও শেষ হয়নি। কুশল মেন্ডিস ৪৮ বলে ৪২ রানে অপরাজিত আছেন। ওদিকে অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা টিকে আছেন ৮ রানে। তাদের তো বটেই, লঙ্কানদের অল আউট করেই নিশ্চয়ই আবার শিগগিরই ব্যাট করতে নামতে চাইবে বাংলাদেশ। ম্যাচের আশা টিকিয়ে রাখতে হলে তা করতেই হবে সফরকারীদের।