অভিনেতা শামীম হাসান সরকারের নামে মারধর, গালিগালাজ, হুমকির মতো অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা প্রিয়া। শুধু তাই নয়, শুটিং সেটে মাদক সেবন করে তার সঙ্গে বাজে ব্যবহারের অভিযোগও করেন এই অভিনেত্রী।
এ ঘটনার পর প্রিয়াঙ্কার সব অভিযোগ অস্বীকার করেন শামীম হাসান সরকার। পরবর্তী সময়ে অভিনয়শিল্পী সংঘে দুজনই অভিযোগ জানান।
তার ভিত্তিতে সালিস বৈঠকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের সমাধান করা হয়েছে।
জানা গেছে, এই পরিস্থিতি নিয়ে তারা দুজনই অনুতপ্ত।
এতে করে সংশ্লিষ্ট শিল্প মাধ্যমের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার দায় স্বীকার করে এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে অভিনয়শিল্পী সংঘও।
অভিনয়শিল্পী সংঘের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে অভিনেতা শামীমকে তার ভুলের জন্য ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী এবং নারী সহকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিনেতাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
জানা যায়, সেই সালিসে ছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কাও। সেখান থেকে অনুতপ্ত মনোভাব প্রকাশ করেন তিনি। এই অভিনেত্রী বলেন, শুটিং সেটে শামীম ভাইয়ের সঙ্গে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। শট দিতে গিয়ে আমার ভুল হয়, উনি রেগে যান, গালিগালাজ করেন। তবে উনি এসব রাগের মাথায় করেছেন, এটা উনি স্বীকার করেছেন।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ঘটনাটি আমি সরাসরি শিল্পী সংঘে না জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফেলি, এটা আমার ভুল ছিল। আমি যেহেতু নতুন, তাই ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। এ জন্য আমি দুঃখিত।
ধর্ষণের অভিযোগ সত্য নয় জানিয়ে অভিনেত্রী আরও বলেন, ধর্ষণের ব্যাপারটি একেবারে ভুল তথ্য। উনি আমাকে স্পর্শ করেননি বা এ ধরনের কিছু করেননি।
অভিনয়শিল্পী সংঘ এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষই অনুতপ্ত। তাদের ভুল স্বীকার এবং দুঃখ প্রকাশ শিল্পীসমাজে দায়বদ্ধতার দৃষ্টান্ত।
কয়েক সপ্তাহ আগে প্রিয়াঙ্কা প্রিয়া একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামীম হাসান সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনেন। তিনি দাবি করেন, শামীম শুটিং সেটে তাকে গালিগালাজ করেছেন, মারধরের চেষ্টা করেছেন এবং এমনকি ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার হওয়ার পরপরই সামাজিকমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। শামীম হাসান সরকারও এর পরদিনই এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি দাবি করেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।