
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে পরিণত হয়। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ দুপুর পর্যন্ত চলে।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে অন্তত ১৯টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যেখানে অফিসের সাইনবোর্ড, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার পর থেকেই গাংনী উপজেলায় উত্তেজনা তৈরি হয়। আমজাদ হোসেনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করে, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে ‘অপ্রত্যাশিত মনোনয়ন মানি না, মানবো না’ স্লোগান দেয়।
মঙ্গলবার সকালে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা নিজেদের অফিসের সামনে জড়ো হন এবং এক পর্যায়ে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা আমজাদ হোসেনের অফিসের সামনে গিয়ে মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। জবাবে আমজাদ হোসেনপন্থিরা পালটা ধাওয়া দিলে মিল্টনপন্থিরা সরে যায়। পরবর্তীতে উত্তেজিত কর্মীরা মিল্টনের অফিসের কিছু অংশ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনার বিষয়ে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, “আমরা নেতাকর্মীদের হাঙ্গামায় জড়াতে নিষেধ করেছি, তবে কেউ আমাদের ওপর হামলা করলে তা প্রতিহত করা হবে।”
গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মেহেরপুর