জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা, বিষ্ফোরক ও হত্যা চেষ্টার ৫টি মামলা, মাদক ব্যবসার মামলা এবং দূর্নীতির দায়ে দুদকের মামলাসহ ৯টি মামলার আসামী পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক উপ ব্যবস্থাপক দূর্ণীতিবাজ বদিউল আলমকে গ্রেফতার করেছে রাজধানীর রমনা থানা পুলিশ।
বুধবার বেলা ১২ টার দিকে কাকরাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বদিউল আলম কার্যক্রম নিষিদ্ধ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন আওয়ামী ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং কক্সবাজার ওলামা লীগের সহসভাপতি।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত বদিউল আলমের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করা ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেসময়ে রামপুরা থানায় দুটি হত্যা মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পল্টন, মোহাম্মদপুর ও কদমতলী থানায় ৩টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এর আগে কক্সবাজারে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকায় বদিউলের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে ৩টি মামলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বদিউলের এক ভাই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। কক্সবাজারের মাদক সম্রাট সাবেক এমপি বদির সঙ্গে যোগসাজসে সে মাদক চোরাচালান করতো। সেসময় মাদক স্পটে অভিযানকালে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তার ভাই। বদিউলের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলেও জানা গেছে।
এদিকে ২০২৫ সালের মে মাসে দুর্ণীতির অভিযোগে বদিউলের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপক থাকাকালীন সময়ে কোটি কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপক পদ থেকেও বহিষ্কার করে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রেফতারের পর রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ফারুক জানান, বদিউল আলমকে মোহাম্মদপুর থানার হত্যা চেষ্টা মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। ইতিমধ্যে তাকে মোহাম্মদপুর থানায় নেয়ার প্রক্রিয়াও করা হচ্ছে।