বসার ঘরে যেভাবে সৌন্দর্য ও স্বস্তি দুটোই পাবেন

জীবনযাপন ডেস্ক , শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫






                                        
                                       

ধিকাংশ বাড়ির অন্দরের পরিধিই ছোট হয়ে এসেছে। বাড়িতে তাই আয়েশি সময়যাপনের আলাদা জায়গা পাওয়া মুশকিল। তবে অন্দর ছোট হলেও পরিবারের সদস্যদের নিজের মতো করে সময় কাটানোর ব্যবস্থা বসার ঘরেই হতে পারে। প্রয়োজন বুঝে সেই আয়োজন করে নেওয়া খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়।

আধুনিক অন্দরসজ্জার ধারাটাই এমন, যাতে সৌন্দর্য ও স্বস্তি দুটোই প্রাধান্য পায়। অন্দরের আকার অনুযায়ী খানিকটা ভিন্ন ধাঁচের আসবাব গড়িয়ে নেওয়ার চলও রয়েছে। সাদাসিধে, হালকা

নকশার আসবাব আর প্রকৃতির খানিকটা পরশে আধুনিক অন্দর হয়ে উঠছে প্রশান্তিদায়ক। এমনটাই বলছিলেন হাতিলের পরিচালক সফিকুর রহমান।

সময় কাটুক আরামে

কয়েক বছর ধরেই জনপ্রিয় ছিল কিছুটা কম উচ্চতার সোফা। তবে এসব সোফা ছিমছাম দেখালেও অনেকের জন্য খুব একটা আরামদায়ক নয়। তাই এই সময়ের সোফার উচ্চতা এমন রাখা হচ্ছে, যাতে বসা কিংবা উঠে দাঁড়ানোর সময় কেউ অস্বস্তি বোধ না করেন। সুস্থতা ও স্বস্তি নিশ্চিত করতে সোফার জন্য ভালো মানের ফোম বেছে নেওয়াও জরুরি। এক, দুই কিংবা তিনজন বসার উপযোগী সোফার চল আগে থেকেই ছিল। এগুলোর পাশাপাশি এখন চারজন বসার উপযোগী সোফাও করা হচ্ছে। সোফায় ব্যবহৃত কাপড়ের রঙের

সঙ্গে কিছুটা বৈপরীত্য রেখে বেছে নেওয়া হচ্ছে কুশন কভারের রং। ইংরেজি ‘এল’ অক্ষরের মতো আসবাব গড়ে তার একটা দিক সোফা আর অন্য দিকটা ডিভান হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। তা ছাড়া জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মাল্টিপারপাস সোফা। এ ধরনের সোফায় বেশ কয়েকজন বসে আড্ডা দেওয়া যায়, আবার প্রয়োজনে অতিথির শোবার ব্যবস্থাও করা যায়। ঘরের একটা পাশে আয়েশ করে মেঝেতে বসার আয়োজনও রাখছেন কেউ কেউ। সেখানেও থাকছে আরামদায়ক কুশন। কেউ কেউ আবার ইজিচেয়ারের মতো আয়েশি আসনের ব্যবস্থাও রাখছেন।

আরও আয়োজন

বসার ঘরের একদিকে বই রাখার চলও অনেক আগে থেকেই রয়েছে। এখনো চলছে সেই ধারা। অবসরে হাতের কাছে থাকা একখানা বই অনায়াসেই সেখান থেকে নামিয়ে নিতে পারবেন। অন্দরের উপযোগী গাছ এখন দারুণ জনপ্রিয়। নানা ধরনের গাছ রাখা যেতে পারে। বসার ঘরের সঙ্গে বারান্দা থাকলে সেখানেও রাখা যায় ভিন্ন ধরনের কিছু গাছ। গাছপালা থাকলে অন্দরে প্রশান্তি আসে। বেশ কিছু গাছপালা রাখা হলে বাতাসটাও হয়ে ওঠে আরামদায়ক। দেয়ালসজ্জায়ও চমৎকার কিছু অনুষঙ্গ যোগ করতে পারেন। সব মিলিয়ে পরিবেশটা হয়ে উঠবে অসাধারণ।

আলোছায়া আর হাওয়া

প্রাকৃতিক আলো আর বাতাস যদি ঢোকে, তাহলে আপনার বসার ঘরের পরিবেশ থাকবে সতেজ। তাই যতটা সম্ভব আলো-বাতাস ঢোকার সুযোগ রাখুন। আবার ধরুন, সন্ধ্যায় বা রাতে কিছুটা সময় বসার ঘরে বই পড়বেন। স্বাভাবিকভাবেই তখন উজ্জ্বল কোনো কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন হবে। ওই ঘরে ওই সময়ে থাকা অন্যদের হয়তো এতটা আলো না হলেও চলে। এমন সময়ের জন্য আলাদা আলোর ব্যবস্থা করে রাখতে পারেন, যা কেবল নির্দিষ্ট জায়গায়ই উজ্জ্বল আলো দেবে। আপনার অন্দরসজ্জায় মানানসই হবে, এমন একটি টেবিল ল্যাম্প বা ফ্লোর ল্যাম্প রাখতে পারেন বসার ঘরে। আবার অতিথি এলে পুরো ঘরটাই যাতে আলোকিত থাকে, সেই ব্যবস্থাও রাখুন।

  • অন্দর
  • গৃহসজ্জা