নিত্য প্রয়োজনের হয়ে দাঁড়িয়েছে মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। সকালে ঘুম থেকে উঠেই হোয়াটসঅ্যাপ চেক করা এবং ঘুমাতে যাওয়ার অবধি সেই কাজই চলে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে প্রতারণার জন্য অ্যাপটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন অভিযানের অংশ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ৬৮ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। মেটা জানিয়েছে, এসব অ্যাকাউন্টের বেশিরভাগই ছিল সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের নিয়ন্ত্রণে, যারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে স্ক্যাম সেন্টার পরিচালনা করে।
তাই প্রতারণামূলক কার্যকলাপ শনাক্ত ও প্রতিরোধের জন্য একগুচ্ছ নতুন ফিচার চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। নতুন এই নিরাপত্তা আপডেটটি গ্রুপ চ্যাট এবং ব্যক্তিগত মেসেজ—দুই ক্ষেত্রেই দৃষ্টি রাখছে। যা ব্যবহারকারীদের অচেনা বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ থেকে আরও ভালোভাবে সুরক্ষা দেবে।
গ্রুপ চ্যাটে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা
যখন ব্যবহারকারীকে তার কনট্যাক্ট লিস্টে না থাকা কেউ কোনো অজানা গ্রুপে যুক্ত করবে, তখন একটি নিরাপত্তা-সংক্রান্ত পর্দা (Safety Overview Screen) দেখা যাবে। এতে এমন তথ্য থাকবে—যে ব্যক্তি আপনাকে যুক্ত করেছে, তিনি আপনার পরিচিত কি না অথবা, ওই গ্রুপে অন্য কেউ আপনার কনট্যাক্টে আছেন কি না।
যতক্ষণ না ব্যবহারকারী সিদ্ধান্ত নেন গ্রুপে থাকতে চান কি না, ততক্ষণ পর্যন্ত নোটিফিকেশন বন্ধ থাকবে। যাতে ক্ষতিকর কনটেন্টের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ এড়ানো যাবে।
প্রতারণাকারীরা এখন প্রায়শই অন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যোগাযোগ শুরু করে এবং পরে ব্যবহারকারীকে হোয়াটসঅ্যাপে নিয়ে আসে। এই প্রবণতা ঠেকাতে, হোয়াটসঅ্যাপ এমন একটি সিস্টেম পরীক্ষা করছে যেখানে নতুন অচেনা কাউকে মেসেজ দিলে সতর্কবার্তা দেখানো হবে।
স্ক্যামাররা ভিকটিমদের টেলিগ্রামে নিয়ে যেত সেখানে ‘টিকটক ভিডিওতে লাইক’, ‘ক্রিপ্টো ইনভেস্টমেন্ট’ ইত্যাদির ভুয়া কাজের প্রলোভন দিত। ভুয়া আয় স্ক্রিনশট দেখিয়ে পরে ভিকটিমদের থেকে আসল টাকা চাওয়া হতো।
হোয়াটসঅ্যাপ বলেছে—এই কেসটি দেখায় কীভাবে স্ক্যাম এখন বহু-প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে গেছে এবং অনেক বেশি বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে উঠেছে।
হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা পরামর্শ