টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের লড়াইটা এই সিরিজ শুরুর আগেও ছিল অসম এক লড়াই। বাংলাদেশ ছিল যোজন যোজন ব্যবধানে পিছিয়ে। তবে সেই পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশই এখন হুংকার দিচ্ছে। সিরিজ জয় করে ফেলেছে আগেই, পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার দুয়ারে আছে এখন।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত মোট ২৪ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৫ বার, যার দুটোই আবার শেষ দুই ম্যাচে। আর পাকিস্তান জয় পেয়েছে ১৯ বার। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয়, সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল পাকিস্তান, আছে এখনও।
দলগত সর্বোচ্চ স্কোরে পাকিস্তান এগিয়ে। তারা ২০০৮ সালে করাচিতে ২০৩ রান করে ৫ উইকেট হারিয়ে। বাংলাদেশ তাদের সর্বোচ্চ রান করেছে ২০২৫ সালে লাহোরে, ১৯৬ রান করেছিল ৬ উইকেটে।
সর্বনিম্ন রানের তালিকায়ও দুই দলের পার্থক্য পরিষ্কার। বাংলাদেশ ২০১১ সালে মিরপুরে ৮৫ রান করেছিল ৯ উইকেট হারিয়ে। একই মাঠে একই বছরে পাকিস্তান ১২৭ রান করেছিল ৫ উইকেটে।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসান সবচেয়ে বেশি রান করেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে—৩৬০ রান। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ হাফিজ করেছেন ২৭৭ রান।
সর্বোচ্চ এক ইনিংসে রান করেছেন পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ। ২০১৪ সালে মিরপুরে তিনি অপরাজিত ১১১ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন সাকিব, যিনি ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাল্লেকেলেতে করেন ৮৪ রান।
উইকেট শিকারেও এগিয়ে পাকিস্তান। তাদের হয়ে শাদাব খান নিয়েছেন ১২ উইকেট। বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার তাসকিন আহমেদ, যিনি নিয়েছেন ১১ উইকেট।
সেরা বোলিং ফিগারের দিক থেকেও পাকিস্তান এগিয়ে। ২০২৫ সালে লাহোরে হাসান আলী ৫ উইকেট নেন ৩০ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ২০২১ সিরিজে মিরপুরে ৩ উইকেট নেন মাত্র ১০ রান খরচায়।
সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে পরিসংখ্যানের খাতা বলছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনেকটাই পিছিয়ে। তবে চলতি সিরিজে সেসব পরিসংখ্যান একপাশে রেখেই বুক চিতিয়ে লড়ছে বাংলাদেশ।