পাখির খাদ্যের আড়ালে পপি বীজ: বন্দরে আটক ৩২ টনের মধ্যে ২৫ টনই নিষিদ্ধ মাদক

নিজেস্ব প্রতিবেদক , বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫






                                        
                                       

ট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ৩২ টন পাখির খাদ্যের একটি চালান আটক করেছে, যার মধ্যে ২৫ টন নিষিদ্ধ পপি বীজ পাওয়া গেছে। এই চালানটি চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জের মেসার্স আদিব ট্রেডিং নামক একটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, দুটি কন্টেইনারে আসা এই পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। সরকারের আমদানি নীতি অনুযায়ী পপি বীজ আমদানি নিষিদ্ধ, কারণ এটি মাদক হিসেবে ব্যবহারযোগ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পপি বীজ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুসারে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আমদানিকারকের পূর্বের চালানগুলোও খতিয়ে দেখা হবে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা আরও জানান, আমদানি নথিতে ৩২ টন পাখির খাদ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও, কন্টেইনার খুলে সাত টন পাখির খাবার এবং ২৫ টন পপি বীজ পাওয়া যায়। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ফাঁকি দেওয়ার জন্য কন্টেইনারের দরজার কাছে পাখির খাদ্যের বস্তা রাখা হয়েছিল এবং ভেতরের দিকে পপি বীজ লুকানো ছিল।
চালানটি গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায় এবং খালাসের জন্য বেসরকারি ডিপো ছাবের আহম্মেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডে নেওয়া হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা চালানটির খালাস স্থগিত করে পরীক্ষার উদ্যোগ নেন। ২২ অক্টোবর কন্টেইনার দুটি খোলা হলে এবং পণ্যের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানোর পর সেটি পপি বীজ হিসেবে নিশ্চিত করা হয়।
এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই অবৈধ আমদানির সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে।
  • আমদানি নিষিদ্ধ
  • কন্টেইনার
  • চট্টগ্রাম কাস্টমস
  • চোরাচালান
  • পপি বীজ
  • পাকিস্তান
  • পাখির খাদ্য
  • মাদক
  • মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন