উত্তরায় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে না ফেরার দেশে শিশু মাহাতাব (১৪)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যায় সে।
যখন শিশু মাহতাবকে (১৪) বার্ন ইনষ্টিটিউটে আনা হয়, তখন থেকেই তার বাবা-মা স্বজনরা আর্তচিৎকার করছিলেন। সোমবার দুপুরের পর পরই মাহতাবকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৩ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, শিশু মাহতাব দুপুর ২টা ১৩ মিনিটে মারা যায়। বর্তমানে আইসিইউতে আরও ১০ জন ভর্তি রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মাহতাবের মৃত্যুতে তার বাবা ইঞ্জিনিয়ার মিনহাজ দেয়ালে মাথা ঠেকাচ্ছেন। বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন। ছেলেকে হারিয়ে পুরো পরিবার আর্তনাদ করছেন। কেউ কাউকে শান্তনা দিতে পারছিলেন না। এমন দৃশ্য দেখে অন্য রোগীর স্বজনরাও ব্যাকুল হয়ে উঠছেন।
মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহতাব আহমেদ দগ্ধ হওয়ার পর নিজে নিজেই দৌঁড়াচ্ছিলেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে।
মাহতাবের মামা বলেন, গতকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ প্রচার চালায় আমার ভাগিনা মারা গেছে। সেটা মিথ্যা ছিল আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার ভাগিনা মারা যায়।
কুমিল্লার দেবিদ্বারের ছেলে মাহতাব তার ক্লাসে থার্ড পজিসনে ছিল।
ইনষ্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক মারুফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, মাহতাবের প্রায় ৮৫ শতাংশ শরীর পোড়া ছিল। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, বাচাতে পারলাম না। আমাদের চিকিৎসকসহ বিদেশ থেকে আসা চিকিৎসক টিমও কাজ করছেন। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, এসব শিশুরা যেন সুস্থ্য হয়ে উঠেন।