নারীদের কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত-ইসলামী সংগীত শোনা জায়েজ?

ইসলাম ডেস্ক , শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫






                                        
                                       

প্রশ্ন: শরীয়তের দৃষ্টিতে নারীদের কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত শ্রবণ করার বিধান কী?

উত্তর: পুরুষের জন্য গাইরে মাহরাম নারীর কণ্ঠে ইসলামী সংগীত শোনা বৈধ নয়। পুরুষের জন্য গাইরে মাহরাম নারীর কথা প্রয়োজনে শ্রবণ করা বৈধ হলেও এক্ষেত্রে শরীয়তের নির্দেশনা হল, নারীরা কোমলতা পরিহার করে কথা বলবে।

নরম সুরে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলা থেকে পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্টভাবে নিষেধ করা হয়েছে। (দেখুন, সূরা আহযাব, আয়াত ৩২)

বর্তমানে যে কোনো সংগীতই আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে এবং এগুলো শ্রবণ করা প্রয়োজনীয় কোনো বিষয়ও নয়। তাই গাইরে মাহরাম নারীদের কণ্ঠে এধরনের সংগীত  শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে। অবশ্য ফেতনার আশঙ্কা না হলে ছোট ছোট মেয়ে শিশুদের কণ্ঠে শোনা নাজায়েজ নয়।

ফেতনার আশঙ্কা হলে প্রাপ্তবয়স্ক বা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কাছাকাছি এমন গাইরে মাহরাম মেয়ের কণ্ঠে কুরআন শোনাও বৈধ হবে না। তবে মাহরামরা তা শ্রবণ করতে পারবে।

ফকিহগণ পরপুরুষের কানে কুরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ পৌঁছতে পারে এজন্য নামাজের মধ্যেও আস্তে আস্তে তিলাওয়াত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি কোনো কোনো ফকিহ উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করলে নামাজ ফাসেদ (নষ্ট) হওয়ার কথাও বলেছেন।

উল্লেখ্য যে, নারীদের জন্য আজান দেওয়া, উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়া এজন্যই নিষেধ করা হয়েছে, যাতে পরপুরুষের কানে তাদের আওয়াজ না পৌঁছে।

মোটকথা, কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রেও ফেতনার আশঙ্কা হলে পরপুরুষের কানে এর আওয়াজ পৌঁছে- এভাবে পড়া থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।

প্রকাশ থাকে যে, প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে বা নারীদের কণ্ঠে ধারণকৃত অডিও, ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার যে রেওয়াজ এখন চালু হয়েছে তা কোনোক্রমেই বৈধ নয়।

সূত্র: সূরা আহযাব (৩৩) : ৩২; আলজামে লিআহকামিল কুরআন, কুরতুবী ১৪/১১৬; আহকামুল কুরআন, জাস্সাস ৩/৩১৯; ফাতহুল কাদীর ১/২২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/১১০; রদ্দুল মুহতার ১/৪০৬; মিরকাতুল মাফাতীহ ৯/৫১; ইমদাদুল আহকাম ৪/৩৭৫

  • ইসলাম
  • ইসলাম ধর্ম
  • নারী