চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ ও আটক ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক , সোমবার, ৫ মে, ২০২৫






                                        
                                       

গাজীপুরে ইসলামী ছাত্রসেনা নেতা ও ইমাম রইস উদ্দিন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও ইসলামী ছাত্রসেনার নেতাকর্মীরা। এ সময় যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। মুরাদপুরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সময় পুলিশের সঙ্গে মিশে হেলমেট পরিহিত ও দেশীয় অস্ত্রধারী কিছু যুবক অবরোধকারীদের ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে। হামলায় সংগঠনের অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া ষোলশহর থেকে পুলিশ ১০ অবরোধকারীকে আটক করে।

হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল বিকাল ৩টায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে সকাল থেকে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, নতুন ব্রিজ, সল্টগোলা ক্রসিং, একে খান মোড়সহ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া, চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের সীতাকুণ্ডেও অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।

ইসলামী ছাত্র সেনার দাবি, মুরাদপুরে পুলিশের সঙ্গে মিশে জামায়াত-শিবিরের লোকজন ছাত্রসেনা ও আহলে সুন্নাতের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।

পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে অবরোধ তুলে নিতে পুলিশ অনুরোধ করে। অনুরোধ না শোনায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। তাদের সহযোগিতা করেছেন সিটিজেন ফোরামের কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অবরোধকারীরা জানান, মুরাদপুরে শতশত নেতাকর্মী সড়ক অবরোধ করেন। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এমএ মতিন কাগজের পত্রিকাকে বলেন, শান্তিপূর্ণ অবরোধে হামলা হয়েছে। পুলিশ যাদের আটক করেছে তাদেরকে বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিকালে নগরীর মোমিন রোডে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী ছাত্রসেনা কার্যনির্বাহী পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে সাহেদুল আলম বলেন, হামলায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির অংশ নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ফ্রন্টের মিডিয়া সেলের প্রধান অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম বলেন, মব ভায়োলেন্স তৈরি করে মাওলানা রইসকে হত্যার পর নানাভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আন্দোলনের মুখে এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও গ্রেফতার করা হচ্ছে আমাদের মতাদর্শী নেতাকর্মীদের। আমরা নিশ্চিত করে বলতে চাই, সুফিবাদীরা কারও ওপর হামলা করে না।

  • ইমাম রইস
  • চট্টগ্রাম
  • পুলিশ