কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে ৯ গোলের ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়ে ইউরোপা ফুটবল লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড। গতরাতে ফিরতি লেগে ম্যান ইউ ৫-৪ গোলে হারিয়েছে লিঁওকে। অথচ ম্যাচের ১০৯ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ গোলে পিছিয়ে ছিল ম্যান ইউ। ম্যাচের শেষ ৭ মিনিটে ৩ গোল করেছে ম্যান ইউ। প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ম্যান ইউ।
ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড। দলের হয়ে ১০ মিনিটে মানুয়েল উগার্তে এবং প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটে দিয়াগো দালোত গোল করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল পরিশোধ করে ম্যাচে সমতা আনে লিঁও। ৭১ মিনিটে লিঁওর কোরেটিন টোলিসো ও ৭৭ মিনিটে নিকোলাস তাগলিয়াফিকো গোল করেন।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে স্কোর ২-২ সমতা থাকায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলার বাঁশি বাজান রেফারি।
১০৪ মিনিটে রায়ান চেরকি এবং ১০৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আলেকজান্দ্রে লাকাজেতের গোলে ম্যাচে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লিঁও। ঐ অবস্থায় ম্যাচ জয়ের আশাই ছেড়ে দিয়েছিল ম্যান ইউ সমর্থকরা।
কিন্তু ম্যাচের শেষ ৭ মিনিটে তিন গোলে অবিশ্বাস্য জয়ের পায় ম্যান ইউ। ১১৪ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও ১২০ মিনিটে কোভি মাইনো গোল করে ম্যাচে ৪-৪ সমতা ফেরান।
১২১ মিনিটে ম্যান ইউর জয় নিশ্চিত করেন হ্যারি ম্যাগুইরে। ৫-৪ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যান ইউ।
অবিশ্বাস্য জয়ের পর ম্যান ইউ কোচ রুবেন আমোরিম বলেন, ‘শেষ দুই গোলে গ্যালারির উল্লাস অসাধারণ। সামনের পথচলায় আমরা এটি লালন করতে পারি। এসব কারণেইতো এই খেলাটা আমরা এত ভালোবাসি। কোচ হিসেবে এই যে এত হতাশা, মৌসুমজুড়ে এমন বিবর্ণ সময়, বাজে সব মুহূর্ত, সবকিছুই আলিঙ্গন করে নেওয়া যায় এরকম কিছু মুহূর্তের জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন মৌসুমে এ ধরনের জয় অনেক ফুটবলারকেই সহায়তা করতে পারে। সমর্থকদের সাথে খেলোয়াড়দের যোগাযোগ তৈরি হয়। কিছু সময়ের জন্য আমরা ভুলে যেতে পারি যে কতটা বাজে মৌসুম আমরা পার করেছি।’
আগামী ২ মে সেমিফাইনালে অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নামবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।