
রাজধানীর শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়া থানা একসময় ছিল ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি ও দখলবাজির কারণে আলোচিত। তবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান দায়িত্ব নেওয়ার পর বদলে গেছে থানা ও এর আশপাশের চিত্র।তার কঠোর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে এসেছে আমূল পরিবর্তন, বেড়েছে জনআস্থা এবং থানায় সেবার মানে এসেছে দৃশ্যমান উন্নতি।ওসি আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।বেশ কয়েকজন চিহ্নিত ছিনতাইকারী, ডাকাত ও সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও বিভিন্ন অপরাধের আলামত।
বড় বড় মামলার রহস্য উন্মোচন ও ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তিতে এসেছে গতিশীলতা।
সম্প্রতি আলোচিত পাঁচ তারিখের ছাত্র হত্যা মামলার আসামিরাও গ্রেপ্তার হয়েছে, এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ওসি হান্নানের দায়িত্ব গ্রহণের পর আশুলিয়া থানায় দালালচক্রের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। এখন সাধারণ মানুষ বিনা খরচে জিডি ও মামলা করতে পারছেন, থানায় আসতে কোনো দালালের প্রয়োজন হচ্ছে না।
এতে থানায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়েছে, যা সেবাগ্রহীতাদের আস্থায় পরিণত হয়েছে।
একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন,
“আগে থানায় গেলে দালালদের ভয়ে কাজ করতে পারতাম না। এখন নিজের কাজ নিজেই করতে পারি, কেউ টাকা চায় না।”
ওসি হান্নান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন নিয়মিতভাবে। চাঁদাবাজি ও দখলবাজির বিরুদ্ধে অভিযানে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিকেও আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ফলে এলাকার জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পুলিশ জানায়, তার নির্দেশনায় আশুলিয়ার বিভিন্ন স্পটে প্রতিদিনই নিয়মিত টহল চলছে।
ওসি আব্দুল হান্নান নিয়মিতভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করছেন। শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিলে তিনি নিজেই মাঠে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় ও বাজার এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানোয় চুরি, ছিনতাই ও নারী নির্যাতনের ঘটনাও কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
একজন শিক্ষক বলেন,
“ওসি হান্নান দায়িত্ব নেওয়ার পর থানায় গিয়েই বোঝা যায়— এখন সত্যিকার অর্থে ‘জনগণের পুলিশ’ কাজ করছে।”
একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলেন,
“যারা আগে অবৈধ দখল, মাদক বা চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা এখন আর মাথা তুলতে পারছে না।”
ওসি হান্নানের কঠোর প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা ও হলুদ সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই চক্রটি পূর্বে থানার আশপাশে দালালি ও ঘুষ বাণিজ্য করত। এখন তাদের সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
নিজস্ব প্রতিক্রিয়ায় ওসি আব্দুল হান্নান বলেন,
“আমি বিশ্বাস করি, পুলিশ যদি জনগণের পাশে থাকে, অপরাধ নিজে থেকেই কমে যাবে। আমি মাননীয় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান স্যারের দিক নির্দেশনায় আশুলিয়াকে আমরা একটি শান্ত, নিরাপদ ও আইনশৃঙ্খলাপূর্ণ মডেল থানা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
বর্তমানে আশুলিয়া থানা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রতিষ্ঠান নয়— এটি জনগণের আস্থা, নিরাপত্তা ও সেবার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ওসি আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা এখন প্রতিদিনের সেবায় মানবিকতা ও দায়বদ্ধতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন।