অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক , সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫






                                        
                                       

সন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করার লক্ষ্যে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে কমনওয়েলথ ইলেক্টোরাল সাপোর্ট সেকশনের (ইএসএস) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই তথ্য জানান।
কমনওয়েলথের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল, যার নেতৃত্ব দেন লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ন্যান্সি কানিয়াগো এবং এক্সিকিউটিভ অফিসার ম্যাডোনা লিঞ্চ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও নির্বাচন পরিচালনায় সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূর্ণ নির্বাচনমুখী এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনের সময় শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বাত্মক দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনী কার্যক্রমে মোট প্রায় আট লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অংশগ্রহণ করবে এবং সশস্ত্র বাহিনীর অতিরিক্ত ৮০ হাজার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য বিশেষ মহড়া ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের জন্য ব্যাপক অভিযান চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং পুলিশ সদস্যদের জন্য বডি ক্যামেরা ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় ‘নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ’ স্থাপন করে সময়োপযোগী ও সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও জানান, নির্বাচনে গণমাধ্যমের জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে যাতে তারা অবাধে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পর্যবেক্ষক দলকে অনুমতি দেওয়া হবে এবং শান্তি রক্ষার জন্য মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী ন্যান্সি কানিয়াগো বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, কমনওয়েলথের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে যদি বাংলাদেশ আমন্ত্রণ জানায়। তারা মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণে সরকারকে সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জানান, আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য নতুন করে ১০ হাজার ২৬৪ জন পুলিশ, ২ হাজার ১৪৫ জন আনসার ও ভিডিপি, ৫ হাজার ৫১৩ জন বিজিবি এবং ৬৩৪ জন কোস্টগার্ড সদস্য নিয়োগ পেয়েছেন।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পর্কে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি যখন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রশ্ন তোলেন, তখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আইন মন্ত্রণালয় চাইলে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা সম্ভব, তবে ইতোমধ্যে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ অবাধে, নির্ভয়ে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে।

প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে সরকারের এই প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার (যেমন সিসিটিভি ও বডি ক্যামেরা) নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়ক
  • নির্বাচনী প্রস্তুতি
  • প্রবাসী
  • স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা